শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশে আছে, আমাদের এখানেও আছে। তাহলে ইলিশ উদ্বাস্তু নাকি অনুপ্রবেশকারী? জামদানি শাড়ি, সন্দেশ, দই-মিষ্টিও কি অনুপ্রবেশকারী? শরণার্থী?’
আজ সোমবার বিধানসভায় নিজের কক্ষে এসব কথা বলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিকপঞ্জী থেকে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়া এবং তাদের অনেকেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে যে সন্দেহের তীর উঠেছে সেই প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই কটাক্ষ করলেন ভারতের কেন্দ্রের মোদি সরকারকে।
নাগরিকপঞ্জীতে নাম না ওঠা বাঙালি মানেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে যে হিড়িক আসামে উঠেছে তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ‘জামদানি শাড়ি বাংলাদেশে আছে, আমাদের এখানেও আছে, তাহলে সেটা উদ্বাস্তু না শরণার্থী? ইলিশ বাংলাদেশেও আছে, আমাদের এখানেও আছে, তাহলে ইলিশ উদ্বাস্তু না অনুপ্রবেশকারী? সন্দেশ অনুপ্রবেশকারী নাকি উদ্বাস্তু? মিষ্টি দই অনুপ্রবেশকারী নাকি শরণার্থী? আমি অনুপ্রবেশকারী নাকি শরণার্থী? কারন, নাগরিকপঞ্জীতে মায়ের জন্ম সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাকে মায়ের জন্ম সার্টিফিকেট দিতে বললে আমি দিতে পারব না। আমি আমার মায়ের জন্মদিন কবে সেটাই নিজে জানি না।’
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা আরো বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আসামে একটা সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপি মনে করছে, ভারতে তারাই থাকবে, আর কেউ থাকবে না। এটা ভারতের মাটিতে বরদাস্ত করা হবে না।’
পশ্চিমবাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলার সভ্যতা সম্পর্কে বিজেপির কোনো ধারনা নেই। বাংলা ভাষা এশিয়াতে দ্বিতীয় এবং সারা বিশ্বে পঞ্চম। এক সময় বাংলা দেশের রাজধানী ছিল। বাংলায় কথা বলা বিজেপির কাছে অপরাধ। তাই বাঙালি হলেই তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি কাউকে সম্মান করতে জানে না। একটা ঘৃণ্য বিষয় চালিয়ে ভারতে বিভেদ ঘটাচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কিন্তু আমাদের বাংলার সংস্কৃতি ভুলে গেলে চলবে না। এখানে কোনোরকম সাম্প্রদায়িকতা করা যাবে না। বাংলাকে বাদ দিয়ে ভারত চলে না।’
উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমি উদ্বাস্তুদের লড়াই সংগ্রাম দেখেছি। তাই তাদের জন্য লড়াই করি।’
Leave a Reply